গ্রাহক তথ্য সংগ্রহ করছে গুগল, ফেসবুক,
হোয়াটসঅ্যাপের মতো প্রতিষ্ঠান। গ্রাহকের পছন্দ-অপছন্দের ভিত্তিতে বিজ্ঞাপন
প্রচার ব্যবস্থা কার্যকর করতেই এ তথ্য সংগ্রহ করছে তারা। সম্প্রতি সাইবার
নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান অ্যাভাস্ট এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়। খবর পিটিআই।
‘গুগল বিজ্ঞাপনদাতা প্রতিষ্ঠান। অ্যাডওয়ার্ড থেকে রাজস্বের একটি বড় অংশ
আয় করে তারা। তাই গ্রাহকের পছন্দ-অপছন্দের ওপর নজর রেখে সে অনুযায়ী
বিজ্ঞাপন প্রচার করা তাদের জন্য অস্বাভাবিক কিছু নয়। আমি মনে করি,
গ্রাহকরাও বিষয়টি জানেন।’— বলেন অ্যাভাস্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা
ভিনসেন্ট স্টেকলার। সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে আলোচনার সময় এ মন্তব্য করেন
তিনি।হেয়াটসঅ্যাপও একই কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘ফেসবুকে বিজ্ঞাপন প্রচারের ক্ষেত্রে হোয়াটসঅ্যাপ তথ্য সংগ্রাহক হিসেবে কাজ করে। হোয়াটসঅ্যাপে অন্যদের সঙ্গে আপনার যে কথোপকথন হয়, তার ভিত্তিতেই ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেখেন আপনি।’ এ বিষয়ে গুগলের এক মুখপাত্রকে জিজ্ঞেস করা হলে নির্দিষ্ট প্রতিবেদন দেখার আগে কিছু বলতে পারবেন না বলে জানান তিনি।
গুগলের প্রাইভেসি পলিসি পেজ অনুযায়ী, ‘গুগলের সেবা ব্যবহার করলে আপনাকে তথ্যের বিষয়ে বিশ্বাস রাখতে হবে। সার্চ, জিমেইল ও ম্যাপের মতো সেবা সরবরাহে এ তথ্য আমাদের সাহায্য করে। সঙ্গত কারণে বিজ্ঞাপন প্রচারেও এ তথ্য কাজে আসে। এ পদ্ধতিতেই আমরা সবার জন্য সেবাগুলো বিনামূল্যে সরবরাহ করতে পারছি।’
ফেসবুকের পক্ষ থেকে এখনো এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। হোয়াটসঅ্যাপের মতো সেবা ব্যবহারে গ্রাহক নিজের সঙ্গে অন্য অনেকের তথ্যও সরবরাহ করছে। এ বিষয়ে স্টেকলার বলেন, ‘হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে হলে আপনাকে কনটাক্ট লিস্টের পুরো তালিকা সরবরাহ করতে হবে। এর মানে হচ্ছে আপনি আপনার পরিচিত প্রায় সবার যোগাযোগ নম্বর ফেসবুককে দিয়ে দিচ্ছেন। আপনার কি এ কাজ করার অধিকার রয়েছে?’
গত মাসে অ্যাভাস্ট অ্যান্ড্রয়েডের ১০০টি অ্যাপের ওপর পর্যবেক্ষণ পরিচালনা করে। পর্যবেক্ষণে প্রাপ্ত ফলাফল সবার সঙ্গে শেয়ার করেন স্টেকলার। পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ৯৯ শতাংশ অ্যাপ মোবাইল ডিভাইসে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রাখে। অর্থাত্ দূর থেকে এর মাধ্যমে মোবাইল ডিভাইসটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে অন্য কেউ। আর ৯২ শতাংশ অ্যাপ গ্রাহকের মোবাইল ডিভাইসের নেটওয়ার্ক সংযোগের ওপর নজরদারি করতে পারে। প্রতি ১০টি অ্যাপের মধ্যে এমন একটি অ্যাপ রয়েছে; যা অডিও-ভিডিও ও ছবি ধারণ করতে পারে। প্রতি ১০টির মধ্যে নয়টি এমন অ্যাপ রয়েছে, যারা ডিভাইসের স্টোরেজে থাকা তথ্য পরিবর্তন বা মুছে দিতে পারে। এ ধরনের অ্যাপগুলো গ্রাহকের জন্য নিঃসন্দেহে ক্ষতিকর। এগুলো ইনস্টলের আগে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন অ্যাভাস্ট বিশেষজ্ঞরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন